ব্যাবসা

সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আজকের টিপস। এই টিপসে থাকবে এসমস্ত ব্যবসা করতে কি প্রয়োজন, এবং এধরণের ব্যবসায় লাভ হবে কেমন। এগুলো পড়ে ভাল লাগলে এখনি যাচাই করে বেকার না থেকে ব্যবসা শুরু করে দিন। লোকলজ্জার ভয় আপনাকে অনাহারে অর্ধাহারে রাখবে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে কেউ এগুলো মনে রাখবেনা। আপনি আগে কি করেছেন। পুঁজি বেশী হলে একটু ভিন্নভাবেও করা যায়। পিকাপ ভর্তি করে লোক রেখে করেন। আগে আইডিয়াগুলো জেনে নিন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যবসা

পেয়াজ, রসুন, আদা, আলু ও ডাল এগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, আপনি চাইলে একটি ভ্যানে করে এই পাঁচটি আইটেম নিয়ে পাড়া বা মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে পারেন। সাধারণ দোকানের চেয়ে কেজি প্রতি ৩-৫ টাকা কমে সেল হবে। লাভও থাকবে অনেক, এমনকি কোন প্রকার বাকি লেনদেনও করতে হয়না। যদি সারাদিনে ৫-৮ হাজার টাকাও সেল হয়, তবুও দেখবেন ৫-৭ শ টাকা অনায়াসে লাভ থাকবে। নিজে বিক্রি করতে না পারলে লোক দিয়েও সেল করানো সম্ভব। তবে, পুঁজি বেশী হলে পিকাপে নিয়েও সেল করা যায়।

তবে এগুলো বিভিন্ন এলাকা থেকে কমে কিনতে হবে। কিছু কিছু পণ্য ঢাকা থেকে নিতে পারবেন হোলসেল রেটে। আবার কিছু পণ্য এলাকাভিত্তিক হয়ে থাকে, এগুলো নির্দিষ্ট এলাকা থেকে কিনে নিবেন।

মাইকিং করে প্যাকেজ আইটেমের ব্যবসা

ধরেন, ৩ প্যাক সেমাই ও এক প্যাক লিচুর প্যাকেজ ৮০ টাকায় কিনে ১০০ টাকায় সেল করলেন। প্রতি প্যাকেজে ২০ টাকা লাভ হবে। এভাবে ১০০ টা প্যাকেজ সেল করা কোন ব্যাপার নয়। এরকম আরও অনেক প্যাকেজ আছে। ওয়াশিং পাউডার ১ কেজির, এলইডি লাইট ৩ টার প্যাকেজ, লুঙ্গি + গামছা, খাতা ৩ টায় এক প্যাকেজ, এরকম যেকোন আইটেমকে বুদ্ধি খাটিয়ে প্যাকেজ করে একটা অডিও রেকর্ড করে সেল করতে পারেন।

সারাদিনে যদি ১-১.৫ শ প্যাকেজ সেল করা যায়, তাহলে অনায়াসে ১-১.৫ হাজার টাকা লাভ থাকে। বাংলাদেশে অনেকে করতেছে। এবং স্বাবলম্বীও হয়েছেন। আমার দেখা অনেকেই এখন বড় ব্যবসায়ী হয়ে আরামসে দিন কাটাচ্ছে। এতে লাভ বেশী হওয়ার কারন হলো- মানুষ এগুলো কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সেল বেশী হয়, তাই দিন শেষে লাভও বেশী দেখা যায়।

সিজনাল ফলের ব্যবসার আইডিয়া

সিজনাল ফলের ব্যবসা বলতে আমের সিজনে আম, আনারস, লিচু, তারপরে আসবে জাম্বুরার সিজন, সাথে লটকনও রাখতে পারবেন। এসব সিজন শেষ হয়ে গেলে আবার ড্রাগন বা অন্যান্য আইটেম রাখতে পারবেন। কলা, বড়ই তরমুজ, খিরা সহ বহু সিজনাল ফলের আইটেম আছে যা সারাবছর ধরে এসব করা যায়। প্রথম দিকে বুঝতে একটু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কয়েক চালান বেচাকেনা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এসমস্ত ব্যবসায় লাভ অনেক। তবে ঠিকমতো সেল না হলে, ক্ষতিও হয়। কারন সব ব্যবসার লভ্যাংস আসে তার বিক্রয়ের উপর ভিত্তি করে। যেমন বিক্রি হবে, তেমন লাভ হবে। বিক্রি না হলে যেসব মালামাল থাকে এগুলোতে পচন ধরতে পারে। তাই বাজারের অবস্থা বুঝে পণ্য কিনতে হবে, আবার বাজার বুঝে বিক্রিও করতে হবে। তাহলেই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।

স্টক লট গার্মেন্টস এর কাপড়ের ব্যবসা

গার্মেন্টস স্টক লট অর্থাৎ গেঞ্জি, প্যান্ট, শার্ট, টিশার্ট ইত্যাদি ঢাকার মিরপুরসহ বঙ্গবাজার, কেরানীগঞ্জ ইত্যাদি এলাকা থেকে কিনে, বিভিন্ন পয়েন্টে বা বাজারের নির্দিষ্ট ফুটপাত সহ অনেক জায়গা পাওয়া যাবে, যেখানে বসে অথবা ভ্যানে করে সেল করলে কোন কোন পিস প্রতি ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। বিভিন্ন ধরনের আইটেম থাকলে একটি স্টিকার বানিয়ে নিতে পারেন, এগুলোতে মুল্য লেখা থাকবে। আপনার নির্দিষ্ট একটা লাভ হিসাব করে মুল্য লিখে রাখবেন, তাতে সময় বাচঁবে। সেল করতে পারলে প্রতিদিন ১-২ হাজার পর্যন্ত লাভ হয়।

ক্যাটারিং ব্যবসার আইডিয়া

ক্যাটারিং ব্যবসা করতে ঢাকা লাগেনা, বড় হোটেল লাগেনা। আপনার লোকাল বাজার বা জেলা শহরের বাজারের বিভিন্ন অফিস ও দোকানদারদের কাছে আপনার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে আসেন। আর একটু আলাপ করে নিন। দূপুরের লাঞ্চ কি নিয়ে আসে? নাকি রেস্টুরেন্টে খায়। নাকি খাবার জন্য বাসায় চলে যেতে হয়। একটু মার্কেটিং করুন- বাসায় গিয়ে সময় নষ্ট না করে, এখানেই লাঞ্চটা সেরে নিলে কতটা সময় বাঁচে। এসময়টা নিজের ব্যবসায় দিলে কিছুটা বাড়তি লাভ হবে। আর লাঞ্চের ব্যবস্থা আপনি করে দিবেন। প্রতিদিন ১০০ টা লাঞ্চ প্যাক করে ১ হাজার টাকার বেশী ইনকাম করা সম্ভব।

একটু চোখটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিবেন কিছুদিনের জন্য। দেখবেন সব স্বাভাবিক হয়ে আছে। প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে, আপনার নিজেরই মনে থাকবেনা, অন্য মানুষের কথা বাদ দেন। আসল কথা হলো প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। ইজ্জত গেলো জাত গেলো বললে, একসময় ইজ্জত ঠিকই থাকবেনা। শুধু প্রতিষ্টিত হওয়ার বয়সটা আর থাকবেনা। তাই যা করার এখনি করে ফেলুন।

পৃথিবীর যত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আছেন, তাদের ৯০% ই হলো অনেক ছোট ব্যবসা থেকে উঠে এসেছেন। তারা এতো বড় হওয়ার কথাও ভাবেনি, তারা হয়ত কোনরকম বেঁচে থাকার জন্য এসব করেছিলেন। কিন্তু ব্যবসার ধর্ম অনুযায়ী তারা আজ এতো উপরে চলে গেছে। তাদের হয়ত ঐ জীবনের কথাগুলোও মনে করার সময় পায়না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button