পাইকারী ব্যবসার ভাল কিছু আইডিয়া

পাইকারী ব্যবসার ভাল কিছু আইডিয়া

পাইকারী ব্যবসার ভাল কিছু আইডিয়া নিয়ে আপনাদেরকে কিছু পরামর্শ দেয়ার চেস্টা করবো। এগুলো থেকে যেই ব্যবসা ভাল লাগবে, এবং স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন- সেই ব্যবসাটাই করার ট্রাই করতে পারেন।

অল্প পুঁজিতে ষ্টেশনারী ব্যবসার আইডিয়া

একদম অল্প পুঁজিতে ষ্টেশনারী ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ঢাকার বাংলাবাজার থেকে খাতা, কলম, স্টেপলার, স্টেপল পিন, কালার পেনসিল, উড পেনসিল, সার্পেনার, রাবার, কার্বন পেপার, আলপিন, নোটনুক, পকেট ডায়রী, মিনি ডায়রি, রাইট বোর্ড, মার্কার পেন ইত্যাদি হোলসেল ক্রয় করে, মফস্বল বাজারের ষ্টেশনারী দোকানে পাইকারী বিক্রি করতে পারেন।

ষ্টেশনারী ব্যবসায় লাভ কেমন

ষ্টেশনারী ব্যবসায় লাভ মোটামুটি খারাপ নয়। খাতাগুলো ২৫ টাকা পিস কিনে ৩০ টাকায় পাইকারী সেল করা যায়। এগুলোর খুচরা মুল্য ৬০ টাকার মতো। এভাবে কলমসহ বাকি আইটেমগুলি তুলনামলক কমবেশী ভালোই লাভ হয়। সারাদিন বিভিন্ন দোকান ঘুরে ১৫-২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এ থেকে প্রায় শতকরা ১০-১৫% লাভ হতে পারে। যার এমাউন্ট হতে পারে, ২-২.৫ হাজার টাকা। পথ খরচ ৫-৭ শ টাকা বাদ দিলেও ১২-১৫ শ টাকা নিশ্চিত থাকবে।

স্বল্প পুঁজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় মনোহারী আইটেমের ব্যবসা

একেবারেই স্বল্প পুঁজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু আইটেমের আইডিয়া দিচ্ছি। দেখুন এগুলো করতে পারবেন কিনা। এগুলো হলো- চাবির রিং, নেইল কাটার, শোন, ছোট ও মাঝারী কেঁচি, সুই, কাপর আটকানোর ক্লিপ যা দিয়ে রোদে কাপড় শুকায়, টুথ ব্রাশও রাখতে পারেন, ব্লেড, রেজার, ইত্যাদি।
এগুলো অন্য ব্যবসার সাথে হলে ভাল হয়। না হলে পুরো জেলার প্রত্যেকটি বাজারে যেতে হবে।

এগুলো পাবেন, ঢাকার চকবাজার ও গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে। আপনি প্রথমবার সরাসরী গিয়ে, কয়েকটা দোকানের ভিজিটিং কার্ড সংগ্রহ করবেন। এবং সাথে যেকোন এক বা একাধিক দোকান থেকে পন্যগুলো কিনে নিবেন। কেনার সময় অবশ্যই দোকানঘুরে যাচাই করে নিবেন। না হলে টুপি পড়িয়ে দিতে পারে।

কম পুঁজিতে ইলেক্ট্রিক ব্যবসার আইডিয়া

এখন দেশের সবার ঘরেই ইলেক্ট্রিসিটি আছে। তাই এখন চাহিদাও বেশি, সবচেয়ে বেশী চাহিদা বাল্ব ও সুইচের। আপনি নবাবপুর রোড অথবা গুলিস্তান থেকে এলইডি বাল্ব ও বিভিন্ন প্রকার সুইচ, প্লাগ হোল্ডার, রেগুলেটর, মাল্টিপ্লাগ, ডাবল পিন সকেট, ফিউজ ইত্যাদির পাইকারী ব্যবসা করতে পারবেন।

ইলেক্ট্রিক ব্যবসায় লাভ কেমন

ইলেক্ট্রিক ব্যবসায় লাভ অনেক, তবে রিস্ক হলো বাকি চলে যায় বেশী। আপনি যদি একটু বেশী বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে ব্যবসা জমবে ভাল। বিকল্পও আছে, গ্রামের ভিতরে অনেক দোকান আছে, যেখানে কোম্পানির এস আর যায়না। তাদের কাছে পাইকারী সেল করলে, লাভও একটু বেশী হয়। বাকিও তেমন যায়না বললেই চলে। তবে সেল কম হয়।

পাইকারী ব্যবসার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিতে হয়।

পাইকারী ব্যবসার জন্য প্রস্তুতি হিসাবে, ব্যবসার ধরন অনুযায়ী একটি গোডাউনের প্রয়োজন হতে পারে। প্রথমদিকে নিজ ঘর থেকেই শুরু করতে পারেন। একটি ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে। সব দোকানের ফোন নাম্বার কালেকশন করার জন্য একটা ডায়রী লাগবে। কারন, আগেরদিন ঐসব দোকানদারকে ফোন করে অর্ডার নিয়ে নিবেন। তাহলে দুবার যেতে হবেনা।

কিছু কৌশল নিজ থেকে তৈরি করে, ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা করে নিবেন। এতে কাজটাও সহজ হবে, সেই সাথে খরচ কমে যাবে। তবে কোয়ালিটি বজায় না রাখতে পারলে, বাজার বেশীদিন ধরে রাখতে পারবেননা। বাকি লেনদেন খুব খারাপ, তাই কিছুটা কমে বিক্রি করবেন, তবুও বাকি বিক্রি না করে নগদ সেল করার চেষ্টা করবেন।

ঔষধের ব্যবসার আইডিয়া ট্রাই করতে পারেন

ফার্ম্মেসী যে হারে বাড়তেছে, এই ব্যবসার সব কিছু ফাঁস হতে আর বেশী বাকি নাই। তবুও আপনার যদি ঔষধ সম্পর্কে মোটামুটি আইডিয়া থাকে, আর এগুলোর ভাল উপস্থাপনা করতে পারেন, তাহলে পাইকারী ঔষধের ব্যবসায় নিজকে জড়াতে পারেন। এই ব্যবসাটা একটু ক্রিটিক্যাল, তাই বেশী জোড় দিয়ে বলিনা।

মেডিসিন বিক্রেতারা একটু ব্যতিক্রমী, কারন তারা হয়ত এটাই জানে যে, ঔষধগুলো হয়তো কেউ ফ্রি দেয়, না হলে এতে কোন খরচ হয়না বোধহয়। বা হলেও হয়ত সামান্য পরিমান খরচ হয়, যার মুল্য পরিশোধ না করলেও চলে। আর এজন্যই তারা ১০ হাজার পণ্য রাখলে ২০০-৩০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিবে। বাকিটা দুদিন একদিন পরপর এসে নিয়ে যেতে হবে। কোথাও দেখা যায়, ৫০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে গিয়ে আনতে হয় ২০০ টাকা। এতে পুঁজিতে হাত দিতে হয়।

কিন্তু এই ঔষধ বিক্রেতারা এগুলো বুঝতে চেস্টা করেনা। আমি একটি গবেষণা করে জানতে পেরেছি, আসলে এই ব্যবসার ৯০% পেশাজীবিগুলোই মেট্রিকের গন্ডি পেরোয়নি। বা আরও কম শিক্ষার লোক! আমি সবাইকে বলছিনা, যেখানে ৯০% লোকের ধারনা ভিন্নরকমের সেই পেশায় তেমন লাভ হবেনা হয়ত। তবুও যদি ঔষধের ব্যবসা করতে চান। সেটা আপনার ইচ্ছা, তবে একেবারেই লস হয়না। কিন্তু এই ব্যবসা করে তেমন উন্নতও হওয়া যায়না।

আপনি চাইলে আমাদের এই পেজে কোন কিছু সেল করতে পারেন। সবার জন্যই নিরাপদ নতুন এক মার্কেটপ্লেস ইনডেক্সওয়ার। আশাকরি আপনি সবকিছু জেনে বুঝে একটা সিদ্ধান্ত নিবেন। তবুও বেকার থাকবেন না। যেকোন কাজকে যে ছোট মনে করে, প্রস্টেজ চলে যাবে মনে করে- সে কোন না কোনদিন অসম্মানিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর একটা কিছু শুরু করলেই, টাকা ইনকাম আরম্ভ হবে। টাকা থাকলে কেউ আপনাকে অসম্মান করতে পারবেনা।

আরও পড়ুন – রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার আইডিয়া

Leave your comment
Comment
Name
Email