
পরিবহন বা রেন্ট এ কার ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আপনিও আপনার বেকাত্বকে জয় করতে পারেন। আধুনিকতার যুগে কেন বেকার থাকবেন। অনেক উচ্চশিক্ষিত যুবক এই ব্যবসায় তাদের ক্যারিয়ার গড়ছে, আপনিও চাইলে একজন সফল ট্রান্সপোর্ট এবং রেন্ট এ কার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এর মালিক হতে পারবেন।
রেন্ট এ কার বিজনেস কিভাবে শুরু করবেন
রেন্ট এ কার সার্ভিস বিজনেস শুরু করতে হলে, আপনাকে ১-২ টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস এর প্রয়োজন হবে। সেই সাথে বেশ কয়েকজন গাড়ির মালিক অথবা ড্রাইভার এর সাথে কমিউনিকেশন থাকতে হবে। এবার আপনাকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি অফিস নিবেন, এবং কিছু ভিজিটিং কার বানিয়ে নিতে পারেন। যা আপনার পরিচিতি বাড়াবে, এবং যাত্রীরা সহজে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে সুবিধা হবে।
এখন আপনার কাজ হবে- আপনার এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় কার্ডগুলো বিতরন করবেন। বিশেষ করে কিছু পয়েন্টে সাইনবোর্ড দিতে পারেন, বা বিভিন্ন দোকানে স্টিকার লাগিয়ে রাখতে পারেন। যেখানে লিখা থাকবে আপনার ট্রান্সপোর্ট ও রেন্ট এ কার সার্ভিস এর নাম ও ফোন নাম্বার।
রেন্ট এ কার সার্ভিস এর কমিশন কেমন
ট্রান্সপোর্ট বা রেন্ট এ কার এর কমিশন নিয়ে বিভিন্ন গাড়ির মালিক বা ড্রাইভারের সাথে কথা বলে নিতে হবে। সাধারণত ১০-২০% কমিশন দিয়ে থাকে। তবে, সাধারণ যাত্রী যেন অতিরিক্ত খরচে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল না করলে, এই ব্যবসা বেশীদিন টিকবেনা। তাই যাত্রীর খরচটা অবশ্যই চিন্তা করতে হবে।
উবারের কথাই চিন্তা করুন, ঢাকায় যখন রেন্ট এ কার এর জমজমাট ব্যবসা, এবং একটি গাড়ি ভাড়া করতে সর্বনিম্ন ১-২ হাজার টাকা চাইতো, তখন উবার এসে ১-২ শ টাকায় ট্রিপ দেয়া শুরু করলো। খুব সহজেই এতোটা জনপ্রিয় হলো যে, উবার এখন সবার মুখে মুখে। তাই সার্ভিস অনুযায়ী খরচ যেন সাশ্রয়ী হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি থাকতে হবে।
রেন্ট এ কার সার্ভিস বিজনেস এর মুল কাজ কি
রেন্ট এ কার সার্ভিস এর মুল কাজ হলো- বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সমূহের ভাড়া জেনে নিতে হবে। যেন যত্রীরা ফোন দেয়ার সাথে সাথে তাদেরকে সঠিক ভাড়াটা জানিয়ে দিতে পারেন। এবং ঐ ভাড়ায় যেন কোন ড্রাইভারের অভিযোগ না থাকে ও আপনার কমিশন ঠিক থাকে।
রেন্ট এ কারের পাশাপাশি কি করা যায়
রেন্ট এ কারের পাশাপাশি আপনি চাইলে ট্রান্সপোর্ট ও এম্বুল্যান্স সার্ভিস রাখতে পারেন। এজন্য বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট গ্রুপ আছে সেখানেও এক্টিভ থাকতে হবে, তবে তা প্রয়োজন অনুসারে। ২ জন এম্বুল্যান্স ড্রাইভারের ফোন নাম্বার সেইভ করে রেখে দিলে এম্বুলেন্স সার্ভিস নিয়েও কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও বেকু বা এস্কেভেটর কমিশনে ভাড়া দিতে পারবেন। এজাতীয় বেশ কিছু গ্রুপ পাবেন, এখানে কয়েকদিন ঘাটাঘাটি করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কি ধরনের ব্যবসার সাথে এই বিজনেস করা যায়
আপনার যদি কোন গাড়ি না থাকে, তাহলে শুধু অন্যের গাড়ি ভাড়া দিয়েও কমিশনে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য
মোবাইল দোকান, ফ্লেক্সিলোড, বা যেসব দোকানে তেমন একটা ব্যবসা-বানিজ্য নাই বা থাকলেও কম, এধরনের ব্যবসার সাথে সাইট বিজনেসও করতে পারেন। এতে আপনার দৈনিক খরচ বের হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- রিস্ক ফ্রি কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া