রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা করে বেকরত্ব দূর করুন

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা করে বেকরত্ব দূর করুন

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে বেকারত্ব দূর করুন। কেন শুধু শুধু চাকরীর জন্য দৌড়াবেন। একটা গভমেন্ট জব নিতে, কমপক্ষে ৩-৪ বছর দৌড়াতে হয়।

আমি ঘুষের কথা বলবনা, শুধু দৌড়ঝাঁপ আর পরিক্ষা সহ যাতায়াত খরচ হিসাব করলেও লাখ দুয়েক যাওয়ার কথা। আরে ভাই, আরো ২ লাখ টাকা যোগ করে, আপনার এলাকা অথবা জনবহুল একটা প্লেস দেখে ভালমানের একটা রেস্টুরেন্ট করতে পারলে, আপনি জানেন? মাসে কত টাকা আয় হবে!

চাকরী করা কি

আমরা এমন এক জাতি, বৃটিশের গোলামী আমাদের রগে রগে বিরাজ করতেছে। তাই পরের গোলামী থেকে এখনও বের হতে পারছিনা। পড়ালেখা করলেই বলে চাকরী করো! মানুষ কি চাকরীর জন্যই পড়াশুনা করে? মাঝে মাঝে অবাক হই, যারা লেখাপড়া করে, তারা এসব করে কি শিখলো? তখনই আবার প্রশ্ন জাগে- তারা নো রিস্ক ইনকামটাই শিখেছে।

চাকরী নিলে, কোন রিস্ক নেই। নিশ্চিত ইনকাম, সাথে উপুরী আছে। এই উপুরীটা আবার ওভারটাইম নয়। সেটাই দূর্নীতি! তবে আমাদের দেশের শিক্ষিত ছেলেরা এটাকে উপুরী হিসাবেই চিনে। আবার সে যখন কোন সার্ভিস নিবে, তখন তার মুখ থেকেই বাণী শুনতে পাওয়া যায়। যাক, বলেছিলাম যারা এসব থেকে দূরে থাকতে চান- তারা একটি ভালমানের রেস্তোরাঁ করুন।

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় কত টাকা পুঁজি লাগে

আপনাকে প্রথমত মনস্থির করতে হবে, কেমন মানের রেষ্টুরেন্ট করবেন। মোটামুটি একটি ভালমানের রেস্তোরাঁ করতে ৪-৫ লক্ষ টাকা হলেই করা যাবে। সিকিউরিটি মানি ১.৫-২ লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র প্রায় ১.৫-২ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করুন। বাকি টাকার খাবার মালামাল নিলেই সুন্দর করে স্টার্ট করতে পারবেন।

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় ঝুঁকি

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় ঝুঁকি থাকবেই। শুধু এই ব্যবসায় নয়, সব ব্যবসায়ই ঝুঁকি আছে। এখানে সতর্কতার সাথে পরিচালনা করতে হবে। বাজার করার জন্য কিছু সাপ্লায়ার থাকতে হবে। নির্দিষ্ট দোকান হলে, বলতে হবে হিসাব যেন পাক্কা থাকে। কাচাঁমাল আইটেম দোকানে এনে দিবে। তাৎক্ষণিক হিসাব করে টাকা দিবেন। তাতে ভেজাল থাকবেনা।

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় অভিজ্ঞতা কি থাকতে হবে

বর্তমান যুগে সবাই অভিজ্ঞ, তবে- সিসি ক্যামেরা থাকলে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই। মেসিয়ার কিছু প্রবলেম করে, বিল কমিয়ে দিয়ে সেও উপুরী আয় করার চেষ্টা করে। এসব দেখার জন্য সিসি টিভি ফুটেজ যথেষ্ট। সারাদিন একই সমান তালে ভিড় জমবেনা। যখন ফ্রি হবেন, তখনই ফুটেজগুলো দেখে নিবেন। ঝামেলা মনে হলে, যার টেবিলে হয়েছে তাকে ডেকে শোকজ করবেন।

আবার ভেতরেও সমস্যা হতে পারে, এগুলোও সেইম পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দোকান বন্ধ করার সময়, ক্যাশ মিলিয়ে যাবেন। এসেও সেইম কাজটি করবেন। কাস্টমার কোন ঝামেলা করলে, বিচক্ষণতার সাথে সমাধান করবেন। তাহলেই হলো। এগুলোই বর্তমান সমস্যা।

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় কেমন লাভ হয়

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় মোটামুটি ভালোই লাভ হয়। যেমন একজন লোকের দূপুরের খাবারে যদি ৮০ টাকা বিল হয়, সেখানে ৫৫-৬০ টাকা খরচ হবে। যদি ভাল কোয়ালিটির খাবার পরিবেশন করেন। প্রতিদিন দূপুরের খাবার থেকেই যে লাভ হয়, তা একজন উচ্চপদস্থ চাকরীজীবির চেয়েও ভাল। মোট কথা ব্যবসা হলো সাগর, চাকরী একটা গাছ। কোনটার সীমা আছে কোনটার নাই তা হিসাব করেন।

রেষ্টুরেন্টে আর কি কি করা যায়

রেষ্টুরেন্টে এখন শুধু চা, নাস্তা আর ভাত বিক্রি হয়না। এখন এসব প্রতিষ্ঠানে ইভেন্ট হয়, বিয়ে-শাদী, বিভিন্ন পার্টি ও সেমিনারও হয়, যদি ঐরকম মিডিয়াম কোয়ালিটির রেষ্টুরেন্টও হয়ে থাকে। জাস্ট প্লেসটা একটু লম্বাটে হতে হবে। পরিবেশটা সুন্দর এবং ঝামেলামুক্ত হলে, বিভিন্ন কোম্পানির মিটিং থেকে শুরু করে পার্টি সেমিনার সবই এখন রেষ্টুরেন্টে হয়।

রেষ্টুরেন্টের পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত

রেষ্টুরেন্টের পরিবেশ ভাল করতে হলে, রান্নাস্থল পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পেছন থেকে কোন প্রকার গন্ধ, ধোঁয়া, শব্দ ইত্যাদি যেন মেসে না আসে। খাবার পরিবেশনের রুমকে মেস বলা হয়। রেষ্টুরেন্টের দেয়ালে কোন ডিজাইন করে রাখা উচিত। খাবার টেবিল ও চেয়ারগুলো মান্দাতের আমলের হলে হবেনা। ফ্লোর আগে থেকেই টাইল্স করা থাকতে হবে। এমনকি হাফওয়াল টাইলস হলে আরো ভাল। ঘর বা রুমটি আয়তকার যেন হয়, উদাহারন স্বরুপ ১৮’/৩৬’ ফুট এরকম হলে ভাল। রান্নাঘর ছাড়া, তবে রান্নাঘর আরও ১২-১৩ ফুটের প্রয়োজন আছে।

আরও পড়ুন – আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করুন

Leave your comment
Comment
Name
Email